শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
আমায় নেটমাধ্যমে কটাক্ষ বেশি করেন নারীরাই, স্বস্তিকা

আমায় নেটমাধ্যমে কটাক্ষ বেশি করেন নারীরাই, স্বস্তিকা

আমায় নেটমাধ্যমে কটাক্ষ বেশি করেন নারীরাই, স্বস্তিকা
আমায় নেটমাধ্যমে কটাক্ষ বেশি করেন নারীরাই, স্বস্তিকা

তামান্না হাবিব নিশু: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কি বিতর্ক লগ্নে জন্ম? তাঁর উদ্দেশে কটাক্ষের শেষ নেই! তিনি সাজলেও ব্যঙ্গ, যেন যৌনকর্মীদের মতো সেজেছেন! তিনি না সাজলে অকারণ অবসাদের তকমা। বিস্মিত স্বস্তিকার আবিষ্কার, এই কটাক্ষকারীদের তালিকার সিংহভাগ জুড়ে মেয়েরাই। শনিবার, ‘রঙিন খিড়কি’র আলোচনা সভায় সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘সাজসজ্জা থেকে আচরণ, সবেতেই ইদানীং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। এবং আমায় বেশি বিদ্রূপ করেন মেয়েরাই!’’

বরাবর স্বস্তিকা ‘আনকাট’। যা ভাবেন, তা-ই বলেন। নিজের শরীর নিয়েও অকারণ ছুঁৎমার্গ নেই। মুখের দাগছোপ রূপটানে না লুকিয়েই ছবি তোলেন। সেই ছবি অনায়াসে পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। আগের তুলনায় ঈষৎ পৃথুলা। তাই নিয়েও মাথাব্যথা নেই। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘বয়স এগোলে শরীর ভারী হবেই। কিংবা আমার শরীর ভারিক্কি! তাতে কী? আমার শরীর নিয়ে, তার স্ট্রেচমার্ক নিয়ে, দাগছোপ নিয়ে আমার সমস্যা না থাকলে অন্যদের থাকবে কেন?’’ এ কথা নেটমাধ্যমেও অজস্র বার বলেছেন। প্লাস সাইজদের বিনা দ্বিধায় সাঁতারের পোশাক পরার পরামর্শও দিয়েছেন।

কেন সব কিছু নিয়েই বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন স্বস্তিকা? জেনেবুঝে করেন? নাকি নিজেকে সাহসী প্রমাণিত করতে? অভিনেত্রীর কথায়, কোনওটাই নয়। তিনি সোজাসাপ্টা কথা বলেন। তার অর্থ বদলে দিয়ে নাকি বিতর্কের জন্ম দেয় সংবাদমাধ্যম এবং নেটমাধ্যম। পাশাপাশি, ‘সাহসী’ উপাধি পেতে পেতেও তিনি ক্লান্ত। বরং যা দেখানো হয়, আদপে নাকি তেমন নন তিনি। স্বস্তিকাও প্রিয়জনের উপরে নির্ভর করতে ভালবাসেন। কেউ তাঁকে আগলাবে, এমন সাধ তাঁরও জাগে। খুব ইচ্ছে করে, প্রিয়জনের ক্রেডিট কার্ড নিয়ে কেনাকাটা করতে বেরোবেন। এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এ সব শুনেও হয়তো মন্তব্যের বান ডাকবে! সবাই ভেবে নেবেন স্বস্তিকা রণক্লান্ত!’’

স্বস্তিকা তাই নিজের ভাল বুঝতে শিখেছেন। কোনও নেতিবাচক মন্তব্য পড়েও দেখেন না। মাথাও ঘামান না। নিজেকে ভাল রাখতে যা করার সেটাই করেন। বাকিদেরও তাঁর পরামর্শ, নিজের মতো চলতে চাইলে নিজেকে শক্তপোক্ত করতে হবে। প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। প্রয়োজনে বাড়িতে বড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। যাতে নিজের দায়িত্ব নিজেই নিতে পারেন। পাশাপাশি, আরও একটি বিষয় অভ্যেস করতে হবে। কী সেটা? ‘‘সকালে ঘুম ভাঙলে বিছানায় বসেই নিজেকে বলুন, ‘তোমরা যা বল তাই বল, আমার লাগে না মনে।’’

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply